৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ বড় প্রশ্ন
৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ বড় প্রশ্ন: ৯ম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, কেমন আছো তোমরা? আশাকরি তোমরা সবাই ভালো আছো। আমরা ইতোমধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ এর অধ্যায়ের কাজ ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন শেয়ার করছি।
আজকের আর্টিকেলে ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ বড় প্রশ্ন শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।
৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ বড় প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা আমাদের কি কি সুবিধা প্রদান করে?
উত্তর: ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে আমরা খুব সহজে যেকোনো তথ্য এক মুহূর্তেই অনুসন্ধান করে বের করতে পারি। বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের কাজকর্মকে অনেক সহজলভ্য করে তুলেছে এমনকি প্রতিনিয়ত আরো সহজ করে দিচ্ছে। যার ব্যবহারে সারা বিশ্বের ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং প্রজন্মের অনেক অগ্রগতি হচ্ছে। ইন্টারনেটের অসামান্য অবদানের কারণে আজ সারা প্রথিবী একটি পরিবারের মতো হয়ে গেছে।
‘আমাদের জীবনে ইন্টারনেট শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো’। দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যার ফলস্বরূপ দেশের দূর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাহাড় বা হাওড়ে বসে ইন্টারনেটের সহায়তায় তরুণ-তরুণীরা বিদেশে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে পারে।
প্রশ্ন ২। ফ্যাক্ট চেকিং বলতে কী বোঝায়? এর প্রয়োজনীয়তা লেখ।
উত্তর: ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া তথ্য যাচাই- বাছাইয়ের মাধ্যম হলো ফ্যাক্ট চেকিং। এটি মূলত আসল ঘটনা বা সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণে ভূমিকা রাখে। অনলাইনে অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে, ফ্যাক্ট চেকিং টুলসের ব্যবহারও বাড়ছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। যেকোনো তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আগে ভাবতে হবে বিষয়টি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি যাচাই যোগ্য কিনা?
তাছাড়া সব তথ্যের সত্যতা যাচাইও করা যায় না। প্রতিটি তথ্যের এক বা একাধিক উৎস থাকে। উৎস চিহ্নিত করতে পারলে তথ্য যাচাই, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন সহজ হয়। বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ নিউজ আউটলেটে ফ্যাক্ট চেকিং এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। যেহেতু নতুন প্রযুক্তিগুলো নতুন মিডিয়া তৈরি করছে, যেগুলো বিভিন্ন ধরনের ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়; তাই এসব তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেসবুক, ইউটিউব, এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ফ্যাক্ট চেকিংয়ের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন ৩। পক্ষপাতিত্ব সবসময় মন্দ নয়। ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পক্ষপাতিত্ব হওয়ার অর্থ হলো একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বকে দেখা। পক্ষপাত্বিতা সবসময় মন্দ নয়। কিছু ক্ষেত্রে, পক্ষপাতিতা সত্যকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন রাজনৈতিক সাংবাদিক যদি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে সে সেই দলের সাথে সম্পর্কিত খবরগুলোকে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে পারে এবং সেই দলের দৃষ্টিকোণ থেকে খবরগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারে। এটি পাঠকদের সেই দলের দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাগুলোকে বোঝার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ প্রদান করতে পারে।
তবে, পক্ষপাত্বিতাও বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। যদি একজন সাংবাদিক কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে সে সেই দলের পক্ষে সহায়ক এমন খবরগুলোকে বেছে নিতে পারে এবং সেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর এমন খবরগুলোকে অস্বীকার করতে পারে। এটি পাঠকদের সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত করতে পারে। সুতরাং, পক্ষপাত্বিতা সবসময় মন্দ নয়, তবে এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
প্রশ্ন ৪। সাংবাদ এর ক্ষেত্রে সময়োপযোগীতা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: ঘটে যাওয়া ঘটনার তথ্য যত কম সময়ে পাঠক বা সংবাদগ্রহীতার কাছে যাবে ততই এটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর কারণ হলো, নতুন তথ্য পাওয়া মানুষের প্রবণতা। যখন কোনো নতুন ঘটনা ঘটে, তখন মানুষ সেই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায়। যত দ্রুত সেই তথ্য তাদের কাছে পৌছায়, ততই তারা সেই তথ্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন ১ জুন বাংলাদেশে একটি বড় ভূমিকম্প হয়। এই ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অনেক মানুষ মারা যায়। এই ঘটনাটি ঘটার পর মানুষ দ্রুত সেই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায়। যদি এই ঘটনার তথ্য ১ জুনেই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাহলে সেই তথ্যটি পাঠক বা সংবাদ গ্রহীতার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু যদি এই ঘটনার তথ্য ১০ জুন পর্যন্ত প্রকাশ না করা হয় তাহলে সেই তথ্যটি পাঠক বা সংবাদগ্রহীতার কাছে আর গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে না।
অবশ্য সব ঘটনার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। কিছু ঘটনার গুরুত্ব তার নবত্বের উপর নির্ভর করে না। যেমন, কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার গুরুত্ব তার নবত্বের উপর নির্ভর করে না। এই ধরনের ঘটনার তথ্য যত দিনের পুরনো হোক না কেন তা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার তথ্য যত কম সময়ে পাঠক বা সংবাদগ্রহীতার কাছে যাবে ততই এটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রশ্ন ৫। সার্চ ইঞ্জিন বলতে কী বোঝায় এবং এটি কীভাবে কাজ করে লেখ।
উত্তর: সার্চ ইঞ্জিন হলো একটি ওয়েব বেইজড টুল বা সফটওয়্যার, যেটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের World Wide Web থেকে ইনফর্মেশন সার্চ’ করতে সাহায্য করে। ইন্টারনেটে কোনো কিছু সার্চ করার পর সার্চ ইঞ্জিন আমাদের সে সমস্ত Result গুলো দেখায়, সেগুলোকে Search Engine Result Page (SERP) বলা হয়। সার্চ ইঞ্জিনের তিনটি প্রাইমারি ফাংশন রয়েছে। সেগুলো হলো- ক্রল, ইন্ডেক্স এবং র্যাঙ্ক।
প্রথমে কোনো তথ্য খুঁজতে ব্যবহার করে ক্রলিং সিস্টেম, যেখান থেকে ইন্ডেক্স করা আছে সেখানে আগে খুঁজে। তারপর Googlbot নির্ধারণ করে থাকে, কাকে প্রথমে দেখাতে হবে আর কাকে পরে দেখাতে হবে। প্রত্যেক সার্চ ইঞ্জিনের নিজস্ব কিছু ক্রলিং রোবট থাকে। এরা পূর্ব নির্দেশিত র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর দিয়ে কন্টেন্ট বিবেচনা করে র্যাঙ্ক করে। তেমনই একটি বোট হচ্ছে গুগল বোট। যেমন- মজ ডট কমের রয়েছে রজারবোট, বিং এর রয়েছে বিং বট।
প্রশ্ন ৬। ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে কীভাবে পরিবর্তন করছে?
উত্তর: ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেকভাবে পরিবর্তন করছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো:
যোগাযোগ: ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের যোগাযোগের উপায়কে বদলে দিয়েছে। এখন আমরা ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি।
শিক্ষা: ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষাকে আরও সহজলভ্য এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এখন আমরা অনলাইন কোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল, এবং অন্যান্য ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে যেকোনো বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি।
বিনোদন: ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের বিনোদনের উপায়কে বদলে দিয়েছে। এখন আমরা ইন্টারনেট, টেলিভিশন এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের বিনোদন উপভোগ করতে পারি।
ব্যবসা: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবসায়ের উপায়কে বদলে দিয়েছে। এখন ব্যবসাগুলো অনলাইনে ‘তাদের পণ্য এবং পরিষেবাগুলো বিক্রি করতে, পারে এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ, কার্যকর এবং আকর্ষণীয় করে তুলছে। তবে, এর কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে, যেমন মিথ্যা তথ্যের বিস্তার এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ঝুঁকি।
প্রশ্ন ৭। তথ্য অনুসন্ধান করে সত্য বের করে আনার ক্ষেত্রে আমাদের কি কি বিষয় লক্ষ রাখা উচিত?
উত্তর: তথ্য অনুসন্ধান করে সত্য বের করে আনার ক্ষেত্রে আমাদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো লক্ষ রাখা উচিত:
তথ্যসূত্র: আমরা যে তথ্যগুলো খুঁজে পাই সেগুলোর সূত্রগুলো বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।
পক্ষপাত: তথ্যগুলো পক্ষপাতদুষ্ট কিনা তা বিবেচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ। একটি তথ্যকে সত্য বলে গ্রহণ করার আগে আমরা এর পক্ষপাতের মাত্রা বিচার করতে পারি।
সম্পূর্ণতা: তথ্যগুলো সম্পূর্ণ কিনা তাও বিবেচনা করা উচিত। একটি তথ্যকে সত্য বলে গ্রহণ করার আগে আমরা এর সম্পূর্ণতা নিশ্চিত করতে পারি।.
আপডেট: তথ্যগুলো আপডেট করা হয়েছে কিনা তাও বিবেচনা করা উচিত। একটি তথ্যকে সত্য বলে গ্রহণ করার আগে আমরা এর সময় অনুযায়ী হালনাগাদ অবস্থা নিশ্চিত করতে পারি।
প্রশ্ন ৮। প্রথাগত মিডিয়াকে নিউ মিডিয়া কীভাবে প্রভাবিত করেছে?
উত্তর: নিউ মিডিয়া প্রথাগত মিডিয়ার সাথে প্রতিযোগিতা করছে এবং প্রভার বিস্তার করছে। নিউ মিডিয়া প্রথাগত মিডিয়াকে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করছে, যার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো:
সংবাদের প্রবাহ: নিউ মিডিয়া সংবাদের প্রবাহকে দ্রুততর এবং আরও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলেছে। এখন আমরা অনলাইন এবং সামাজিক মিডিয়া মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে সংবাদ পেতে পারি।
সংবাদের ধরন: নিউ মিডিয়া সংবাদের ধরনকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। এখন আমরা ভিডিও, গ্রাফিক এবং অন্যান্য মিডিয়া ফর্ম্যাটের মাধ্যমে সংবাদ পেতে পারি।
সংবাদের প্রভাব: নিউ মিডিয়া সংবাদের প্রভাবকে বৃদ্ধি করেছে। এখন আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে সংবাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারি।
প্রথাগত মিডিয়াও নিউ মিডিয়া থেকে শিখছে এবং নিজেদেরকে পরিবর্তন করছে। প্রথাগত মিডিয়া এখন আরও অ্যাক্সেসযোগ্য এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
প্রশ্ন ৯। ডেটা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এক্সেল কীভাবে সহায়ক হয়? বর্ণনা কর।
উত্তর: এক্সেল হলো একটি স্প্রেডশিট অ্যাপ্লিকেশন যা ডেটা উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম প্রদান করে। এক্সেল ব্যবহার করে আমরা ডেটাকে টেবিল, গ্রাফ এবং অন্যান্য উপায়ে উপস্থাপন করতে পারি।
এক্সেল ডেটা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সহায়ক কারণ এটি নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো প্রদান করে:
ডেটাকে সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করা: এক্সেল ব্যবহার করে আমরা ডেটাকে একটি টেবিলে সংগঠিত করতে পারি। এটি ডেটাকে সহজে বোঝা এবং তুলনা করতে সহায়তা করে।
ডেটাকে দৃষ্টিনন্দনভাবে উপস্থাপন করা: এক্সেল ব্যবহার করে আমরা ডেটাকে বিভিন্ন ধরণের গ্রাফ এবং চার্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারি। এটি ডেটাকে আরও আকর্ষণীয় এবং বোঝার জন্য সহজ করে তোলে।
ডেটাকে বিশ্লেষণ করা: এক্সেল ব্যবহার করে আমরা ডেটাকে বিভিন্ন ধরণের বিশ্লেষণ করতে পারি। এটি ডেটা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সহায়তা করে।
প্রশ্ন ১০। গবেষণার ক্ষেত্রে জরিপের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর: জরিপ হলো একটি গবেষণা পদ্ধতি যা একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মতামত বা বিশ্বাসের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা সংগ্রহ করে। জরিপ গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো প্রদান করে:
জনমত জানা: জরিপ ব্যবহার করে আমরা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে জনমত জানতে পারি। এটি ব্যবসা, রাজনীতি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সহায়তা করে।
বাজার গবেষণা: জরিপ ব্যবহার করে আমরা একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের মতামত জানতে পারি। এটি পণ্য বা পরিষেবা উন্নত করতে এবং নতুন পণ্য বা পরিষেবা বিকাশ করতে সহায়তা করে।
সামাজিক গবেষণা: জরিপ ব্যবহার করে আমরা একটি নির্দিষ্ট সমাজের সমস্যার উপর তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। এটি সামাজিক সমস্যাগুলো বোঝার এবং সমাধান করার জন্য সহায়তা করে।
প্রশ্ন ১১। ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন এর জন্য গ্রাফ ব্যবহার করার। যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন হলো একটি প্রক্রিয়া যা ডেটাকে একটি দৃশ্যমান আকারে উপস্থাপন করে ফলে বিষয়টি সহজে বোঝা যায়। গ্রাফ হলো ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন এর একটি শক্তিশালী হাতিয়ার কারণ এটি নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো প্রদান করে:
ডেটাকে সহজে বোঝা: গ্রাফগুলো ডেটাকে একটি চিত্রিত আকারে উপস্থাপন করে যা সহজে বোঝা যায়। এটি ডেটা থেকে তথ্য বের করে আনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়াকে সহজ করে তোলে।
ডেটাকে তুলনা করা: গ্রাফগুলো বিভিন্ন ডেটাসেটের মধ্যে পার্থক্যগুলো তুলনা করা সহজ করে তোলে। এটি ডেটা থেকে প্রবণতা এবং সম্পর্কগুলো শনাক্ত করতে সহায়তা করে।
ডেটাকে যোগাযোগ করা: গ্রাফগুলো ডেটাকে একটি আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন উপায়ে উপস্থাপন করে যা সহজে বোঝা যায়। এটি ডেটাকে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে সহজ করে তোলে।
প্রশ্ন ১২। কপিরাইট কেন গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কপিরাইট হলো একটি আইনি সুরক্ষা যা মূল সৃজনশীল কাজগুলোকে রক্ষা করে। কপিরাইট গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো প্রদান করে:
সৃজনশীলতার উৎসাহ: কপিরাইট সৃজনশীল ব্যক্তিদের তাদের কাজের জন্য ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। এটি সৃজনশীলতা এবং নতুনত্বকে উৎসাহিত করে।
জনসাধারণের স্বার্থ: কপিরাইট জনসাধারণের কাছে সৃজনশীল কাজগুলোর অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে। এটি সংস্কৃতি এবং শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করে।
অন্যান্য অধিকারের সুরক্ষা: কপিরাইট অন্যান্য অধিকারগুলোকেও রক্ষা করতে পারে, যেমন ট্রেডমার্ক এবং লাইসেন্সিং।
কপিরাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি সুরক্ষা যা সৃজনশীলতা, জনসাধারণের স্বার্থ এবং অন্যান্য অধিকারগুলোকে সুরক্ষিত রাখে।
আরও দেখুন: ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল আপডেট পেতে ফলো করে রাখতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ, এবং ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।