৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫ বড় প্রশ্ন
৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫ বড় প্রশ্ন: OSI ফ্রেমওয়ার্ক হলো একটি নেটওয়ার্ক মডেল যা নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য একটি স্তর-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। OSI ফ্রেমওয়ার্ক সাতটি স্তরে বিভক্ত। OSI ফ্রেমওয়ার্ক একটি আদর্শ মডেল এবং বাস্তব নেটওয়ার্কগুলো প্রায়শই এই মডেলের সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। OSI ফ্রেমওয়ার্ক নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য একটি বুনিয়াদি বোঝাপড়া প্রদান করে।
৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫ বড় প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। OSI ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর: OSI ফ্রেমওয়ার্ক: Open Systems Interconnection ■ বা OSI মূলত নেটওয়ার্ক সিস্টেমের কাজকে ব্যাখ্যা করার জন্য = একটি ধারণাগত কাঠামো (Conceptual Framework)। এটি International Standards Organization (ISO) কর্তৃক প্রণীত এবং ৭টি লেয়ারে বিভক্ত। এই লেয়ারগুলো হল ফিজিক্যাল, ডেটা লিংক, নেটওয়ার্ক, ট্রান্সপোর্ট, সেশন, প্রেজেন্টেশন এবং অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার।
একটি প্রেরক কম্পিউটার, যখন ডেটা প্রেরণ করে তখন ডেটা অনেকগুলো মাধ্যম হয়ে গন্তব্য কম্পিউটারে পৌছায়। উৎস থেকে গন্তব্যে যাওয়ার সময় ডেটা যাতে ত্রুটিমুক্ত ভাবে পৌছাতে পারে সে জন্য কিছু নিয়ম নির্ধারণ করা আছে। এই নিয়মগুলো হলো প্রোটোকল, আর এই প্রোটোকলগুলোর সমন্বয়ে তৈরি ফ্রেমওয়ার্ক হলো OSI ফ্রেমওয়ার্ক।
প্রশ্ন ২। TCP/IP প্রোটোকল কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: TCP/IP প্রোটোকল Transmission Control Protocol/Internet Protocol বা TCP/IP মূলত একগুচ্ছ প্রোটোকল সমগ্র যা বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইসকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করতে বাস্তবে ব্যবহৃত হয়। TCP/IP ৪টি লেয়ারে বিভক্ত। এই লেয়াগুলো হলো-নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস, নেটওয়ার্ক, ট্রান্সপোর্ট এবং অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার।
TCP ব্যবহৃত হয় কানেকশন অরিয়েন্টেড নির্ভরযোগ্য ট্রান্সমিশন সার্ভিসের জন্য, আর IP ব্যবহৃত হয়, ওই নেটওয়ার্কের প্রতিটি হোস্টের অ্যাড্রেস নির্ধারণের জন্য।
প্রশ্ন ৩। আইপি অ্যাড্রেস সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর: আইপি অ্যাড্রেস হলো বিশেষ একটি ইউনিক সংখ্যা যা ইন্টারনেটে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের ঠিকানা চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি কম্পিউটারের একটি আলাদা আইপি অ্যাডেস থাকে এবং এদের কোনোটির সাথে কোনোটির মিল নেই।
আমরা যখন ইন্টারনেটে কোনো একটি বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য সার্ভারে রিকোয়েস্ট পাঠাই, তখন আমাদের সেই তথ্যগুলো সঠিকভাবে সেই সার্ভারে পাঠানো এবং আবার পুনরায় আমাদের ডিভাইসে আসার ক্ষেত্রে কাজ করে আইপি অ্যাডেস। এখানে আইপি অ্যাড্রেস মূলত আমাদের ডিভাইসের ঠিকানা নির্দেশকারী হিসেবে ব্যবহার হয়।
প্রশ্ন ৪। নেটওয়ার্ক লেয়ারের কাজ সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: নেটওয়ার্ক লেয়ার প্রেরক ও গ্রাহকের মধ্যে লজিক্যালি সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই লেয়ারে ট্রান্সপোর্ট লেয়ার হতে প্রাপ্ত ডেটাকে প্যাকেটে ভাগ করে। এই লেয়ার ডেটা রাউটিং এর কাজ করে এবং আইপি অ্যাড্রেস নিয়ে কাজ করে। নেটওয়ার্ক লেয়ারে ডেটার ফরম্যাটকে প্যাকেট বলা হয়।
এই প্যাকেট এর মধ্যে সোর্স আইপি অ্যাড্রেস, ডেস্টিনেশন আইপি অ্যাড্রেস এবং ট্রান্সপোর্ট লেয়ার থেকে প্রাপ্ত মেগমেন্ট থাকে। একটি নেটওয়ার্ক ডেটা পৌছানোর জন্য একাধিক পথ থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রে কোন পথটি বেশি কার্যকর হবে ডেটা প্রবাহের জন্য তা নেটওয়ার্ক লেয়ার নির্ধারণ করে।
প্রশ্ন ৫। প্রেজেন্টেশন লেয়ারের কাজ সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: প্রেজেন্টেশন লেয়ার মূলত ডেটার ফরম্যাট পরিবর্তন করে। ডেটা ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করে। প্রেজেন্টেশন লেয়ারের কাজগুলো হলো-ডেটা কনভার্সন, ক্যারেক্টার কোড ট্রান্সলেশন, ডেটা কম্প্রেশন, এনক্রিপশন এবং ডিক্রিপশন অন্তর্ভুক্ত।
প্রেজেন্টেশন লেয়ারকে সিনট্যাক্স স্তরও বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমরা আমাদের যে ডেটা স্থানান্তর করি তা নেটওয়ার্ক জুড়ে প্রেরণের আগে এই স্তরটিতে ডেটাকে ফরম্যাট এবং এনক্রিপ্ট করা হয়। ডেটা গ্রহণ শেষে ডেটাটি ডিক্রিপ্ট এবং ফরম্যাট করে মূলত পাঠ্য বা মিডিয়া তথ্যে ফরম্যাট এ উপস্থাপন করে।
৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫ অনুধাবন প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ফাইল ট্রান্সফার করার জন্য কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে? বর্ণনা কর।
উত্তর: এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ফাইল ট্রান্সফার করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- বাহ্যিক স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা
- নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা
- ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করা
বাহ্যিক স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করা: বাহ্যিক স্টোরেজ ডিভাইস যেমন, পেনড্রাইভ, হার্ডড্রাইভ বা সিডি হলো এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ফাইল ট্রান্সফার করার একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়। এই ডিভাইসগুলো সাধারণত একটি ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয় এবং ফাইলগুলো সহজেই একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে অনুলিপি করা যেতে পারে।
নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা: নেটওয়ার্ক, যেমন, ইথারনেট বা ওয়াই-ফাই এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ফাইল ট্রান্সফার করার একটি দ্রুত এবং সহজ উপায়। এই নেটওয়ার্কগুলো ডিভাইসগুলোকে একসাথে সংযুক্ত করতে ব্যবহার করা হয় যা ফাইলগুলোকে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে দ্রুত এবং সহজে স্থানান্তর করা সম্ভব করে তোলে।
ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করা: ক্লাউড স্টোরেজ হলো একটি সার্ভারের মাধ্যমে ফাইলগুলো সংরক্ষণ এবং অ্যাক্সেস করার একটি পরিষেবা। ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করে, ব্যবহারকারীরা তাদের ফাইলগুলোকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো ডিভাইস থেকে অ্যাক্সেস করতে পারে।
প্রশ্ন ২। নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আমরা দৈনন্দিন জীবনে কী কী কাজ করে থাকি? বর্ণনা কর।
উত্তর: নেটওয়ার্ক আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকি। নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আমরা যেসব কাজগুলো করে থাকি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
তথ্য আদান-প্রদান: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি। আমরা ই-মেইল, মেসেঞ্জার, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারি।
ব্যবসায়-বাণিজ্য: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়- বাণিজ্য করতে পারি। অনলাইনে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে “পারি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে জানতে পারি।
শিক্ষা: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। আমরা অনলাইন কোর্স করতে পারি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের শিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে জানতে পারি।
বিনোদন: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা বিনোদন উপভোগ করতে পারি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সিনেমা, গান, গেম ইত্যাদি উপভোগ করতে পারি।
সামাজিক যোগাযোগ: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সামাজিক যোগাযোগ করতে পারি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি।
পরিবহন: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা বাস, ট্রেন, বিমান ইত্যাদির টিকিট বুক করতে পারি।
চিকিৎসা: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারি।
ব্যাংকিং: নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে ব্যাংকিং করতে পারি। নেটওয়ার্ক আমাদের জীবনকে অনেক সহজ ও সুন্দর করে তুলেছে। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো কাজ করতে পারি।
প্রশ্ন ৩। এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের কাজের পদ্ধতি বর্ণনা কর।
উত্তর: এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের কাজের পদ্ধতি নিম্নরূপ:
সংগঠন: প্রথমে নেটওয়ার্কের ডিভাইসগুলোকে সংগঠিত করতে হয়। এটি করতে নেটওয়ার্ককে একটি টপোলজিতে সাজানো হয়। টপোলজি নেটওয়ার্কের ডিভাইসগুলো কীভাবে সংযুক্ত থাকে তা বর্ণনা করে।
অ্যাড্রেসিং: নেটওয়ার্কের ডিভাইসগুলোকে একে অপরকে শনাক্ত করতে অ্যাড্রেসিং ব্যবহার করা হয়। অ্যাড্রেসিং হলো ডিভাইসের একটি অনন্য পরিচয়।
প্রেরণ: তথ্য প্রেরণের জন্য একটি ডিভাইস একটি প্যাকেট তৈরি করে। প্যাকেট হলো তথ্যের একটি ছোট অংশ।প্যাকেটে তথ্যের ধরন, উৎস এবং গন্তব্যের ঠিকানা থাকে।
প্রেরক: প্রেরণকারী ডিভাইস প্যাকেটটিকে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করে। প্যাকেটটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডিভাইস থেকে ডিভাইসে চলে।
গ্রহণ: গ্রহণকারী ডিভাইস প্যাকেটটি গ্রহণ করে। গ্রহণকারী ডিভাইস প্যাকেটটি পরীক্ষা করে এবং নিশ্চিত করে যে এটি সঠিক গন্তব্যে পৌছেছে।
প্রতিক্রিয়া: গ্রহণকারী ডিভাইস প্রেরক ডিভাইসকে একটি প্রতিক্রিয়া পাঠায়। প্রতিক্রিয়াটি নিশ্চিত করে যে প্যাকেটটি সঠিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রশ্ন ৪। নেটওয়ার্ক লেয়ারস বলতে কী বুঝ? নেটওয়ার্ক লেয়ারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নেটওয়ার্ক লেয়ারস হলো নেটওয়ার্কিং মডেলের বিভিন্ন স্তর। নেটওয়ার্কিং মডেল হলো একটি ধারণাগত কাঠামো যা নেটওয়ার্কের বিভিন্ন উপাদান এবং তাদের মধ্যে যোগাযোগের প্রক্রিয়াকে সংজ্ঞায়িত করে। নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলো বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে যাতে একটি নেটওয়ার্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। এই কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ডেটা সংক্রমণ: নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলো ডেটাকে একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে প্রেরণ এবং গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলোকে সংজ্ঞায়িত করে।
ডেটা অ্যাড্রেসিং: নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলো ডেটা প্যাকেটগুলোকে উৎস এবং গন্তব্য ডিভাইসের ঠিকানা দিয়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
ত্রুটি সংশোধন: নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলো ডেটা প্যাকেটগুলোতে ত্রুটি শনাক্ত করতে এবং সংশোধন করতে সাহায্য করে।
বুটিং: নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলো ডেটা প্যাকেটগুলোকে তাদের গন্তব্যে পৌছানোর জন্য সঠিক পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ:
নেটওয়ার্কিং মডেলটিকে সহজতর করে: নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলো নেটওয়ার্কিং মডেলটিকে বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত করে। এটি নেটওয়ার্কিং মডেলটিকে আরও সহজবোধ্য এবং পরিচালনাযোগ্য করে তোলে।
নেটওয়ার্কিং মডেলের পুনঃব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি করে: নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলোর বিচ্ছিন্নতা তাদের পুনঃব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি একই নেটওয়ার্কিং মডেলের বিভিন্ন স্তর ব্যবহার করে।
নেটওয়ার্কিং মডেলের বিকল্পগুলোর জন্য উন্মুক্ত করে: নেটওয়ার্ক, লেয়ারগুলোর বিচ্ছিন্নতা নতুন প্রযুক্তি এবং বিকল্পগুলোর জন্য উন্মুক্ত করে।
নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলো ছাড়া নেটওয়ার্কিং মডেলটি জটিল এবং পরিচালনা করা কঠিন হবে। নেটওয়ার্ক লেয়ারগুলো নেটওয়ার্কিং মডেলটিকে আরও সহজবোধ্য, পুনঃব্যবহারযোগ্য এবং বিকল্পগুলোর জন্য উন্মুক্ত করে তোলে।
প্রশ্ন ৫। OSI মডেলের প্রেজেন্টেশন এবং সেশন লেয়ারের কাজ এবং TCP/IP মডেলের কোন লেয়ারটি করে থাকে? নিজের ধারণা লিখ।
উত্তর: OSI মডেলের প্রেজেন্টেশন লেয়ার OSI মডেলের প্রেজেন্টেশন লেয়ারটি তথ্যের উপস্থাপনা এবং রূপান্তরের জন্য দায়ী। এটি অ্যাপ্লিকেশন এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে ইন্টারফেস প্রদান করে এবং তথ্যকে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী উপস্থাপন করে।প্রেজেন্টেশন লেয়ারের কিছু নির্দিষ্ট কাজ হলো:
- তথ্যের কোডিং এবং ডিকোডিং
- তথ্যের সংকুচিতকরণ এবং প্রসারণ
- তথ্যের সীমানা চিহ্নিতকরণ
- তথ্যের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা প্রদান
OSI মডেলের সেশন লেয়ার: OSI মডেলের সেশন লেয়ারটি তথ্যের নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী। এটি প্রয়োগ লেয়ারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, পরিচালনা এবং সমাপ্ত করার জন্য দায়ী। এটি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের নিরাপত্তাও প্রদান করে থাকে।
সেশন লেয়ারের কিছু নির্দিষ্ট কাজ হলো:
- সংযোগ স্থাপন
- সংযোগ পরিচালনা
- সংযোগ সমাপ্তকরণ
- নিরাপত্তা প্রদান
TCP/IP মডেলের যে লেয়ারটি উপরিউক্ত কাজগুলো করে থাকে: OSI মডেলের প্রেজেন্টেশন লেয়ার এবং সেশন লেয়ারের কাজগুলো TCP/IP মডেলের অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার দ্বারা করা হয়। অ্যাপ্লিকেশন লেয়ারটি ব্যবহারকারীর অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলোর সাথে ইন্টারফেস প্রদান করে এবং তথ্যের আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ করে।
অ্যাপ্লিকেশন লেয়ারের কিছু নির্দিষ্ট কাজ হলো:
- অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন
- অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান।
- ডেটা বাউন্ডারি নির্ধারণ
- তথ্যের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা প্রদান
আরও দেখুন: ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ বড় প্রশ্ন
আরও দেখুন: ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ২ বড় প্রশ্ন
আরও দেখুন: ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৩ বড় প্রশ্ন
আরও দেখুন: ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৪ বড় প্রশ্ন
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল আপডেট পেতে ফলো করে রাখতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ, এবং ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।