|

৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ প্রশ্নোত্তর

৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ: ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সামাজিক স্বার্থ’ রচনায় লেখক বলতে চেয়েছেন যে, আমাদের সমাজে একদিকে ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া মানুষ যেমন রয়েছে, অন্যদিকে সামাজিক স্বার্থকে বড়ো করে দেখার মানুষও রয়েছে। যাদের কাছে ব্যক্তিগত স্বার্থ বেশি গুরুত্ব পায় তারা ধনী, বিষয়-সম্পত্তির মালিক হয়। আর তারা সর্বদা নিজেদের সুখ-দুঃখ নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

অন্যদিকে সামাজিক স্বার্থকে যারা গুরুত্ব দেন তারা হন দেশপ্রেমিক সমাজের কল্যাণই তাদের একান্ত চাওয়া-পাওয়া। লেখক মনে করেন তাদের ওপরই সমাজের মঙ্গল ও উন্নতি নির্ভর করে। লেখক এখানে মানুষ ও পশুর মধ্যে সূক্ষ পার্থক্য দেখাতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন- মানুষের জীবন চিন্তার দ্বারা বিকশিত হয়, অন্যদিকে পশুর একমাত্র উদ্দেশ্য দৈহিক প্রয়োজন মেটানো। প্রতিটি যুগেই মানুষের সামাজিক জীবনে একটা আদর্শ থাকে, আর এই আদর্শই নির্ধারণ করে দেয় শেষ পর্যন্ত সে কোন অবস্থানে যাবে।


৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ প্রশ্নোত্তর

Class 8 Bangla Page 76 – ৮ম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ৭৬ সমাধান

৪.১.১ বিভিন্ন গঠনের শব্দ খুঁজি: উপরের গদ্যাংশটি থেকে কমপক্ষে দুটি করে সমাস, উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে গঠিত শব্দ শনাক্ত করো। ১ম কলামে শব্দ লিখবে, ২য় কলামে শব্দটিকে ভাঙবে এবং ৩য় কলামে শব্দটি কীভাবে গঠিত তা লিখবে। লেখা হয়ে গেলে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো। তিন ধরনের গঠিত শব্দের একটি করে উদাহরণ দেখানো হলো।

গঠিত শব্দশব্দটি ভাঙলে যেমন হবেকীভাবে গঠিত
সমাজজীবনসমাজ + জীবনসমাসের মাধ্যমে
সম্প্রসারণসম্ + প্রসারণউপসর্গের মাধ্যমে
সামাজিকসমাজ + ইকপ্রত্যয়ের মাধ্যমে

কাজের ধরন: দলগত।
কাজের উদ্দেশ্য: সমাসের ধারণা প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের সমাসের সাহায্যে শব্দ গঠন করার দক্ষতা বৃদ্ধি করে-তোলা।
উপকরণ: পাঠ্যবই, খাতা, সাদা কাগজ, কলম প্রভৃতি।

কাজের ধারা:
১) শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসরণে প্রথমে সহপাঠীরা মিলে কয়েকটি দল গঠন কর।
২) দলের ছাত্রছাত্রীরা আলোচনা করে কারা কোন নমুনা উত্তরটি তৈরি করব তা ঠিক করে নেবে।
৩) সমাসের সাহায্যে শব্দ গঠন প্রক্রিয়াগুলো ভালো করে জেনে নেবে।
৪) নমুনা উত্তরের জন্য প্রয়োজনে অভিভাবক, এলাকার ব্যক্তিবর্গের মতামত নাও।

নমুনা উত্তর:

গঠিত শব্দশব্দটি ভাঙলে যেমন হবেকীভাবে গঠিত
সমাজজীবনসমাজ + জীবনসমাসের মাধ্যমে
সম্প্রসারণসম্ + প্রসারণউপসর্গের মাধ্যমে
সামাজিকসমাজ + ইকপ্রত্যয়ের মাধ্যমে
সুখ-দুঃখসুখ + দুঃখসমাসের মাধ্যমে
বিষয়-সম্পত্তিবিষয় + সম্পত্তিসমাসের মাধ্যমেশ
অধিকারঅধি + কারউপসর্গের মাধ্যমে
ইতিহাসইতি + হাসউপসর্গের মাধ্যমে
প্রভাষপ্র + ভাবউপসর্গের মাধ্যমে
দৈনিকদিন + ইকপ্রত্যয়ের মাধ্যমে
ক্ষুদ্রতরক্ষুদ্র + তর্প্রত্যয়ের মাধ্যমে
নায়কনী + অক্প্রত্যয়ের মাধ্যমে

Class 8 Bangla Page 78 – ৮ম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ৭৮ সমাধান

কাজ-৪.১.২ সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠন করি: নিচের শব্দগুলোর আগে বা পরে অন্য শব্দ যোগ করে নতুন শব্দ বানাও। কাজ শেষে সহপাঠীকে তোমার কাজ দেখাও, তুমিও তার কাজ দেখো এবং একে অপরের কাজ নিয়ে আলোচনা করো। একটি নমুনা করে দেখানো হলো।

শব্দআগে শব্দ যোগ করে নতুন শব্দপরে শব্দ যোগ করে নতুন শব্দ
বাগানফুলবাগানবাগানবাড়ি
বই
আকাশ
তেল
হাত
মুখ
ঘর
রাস্তা
ফল

নমুনা উত্তর:

শব্দআগে শব্দ যোগ করে নতুন শব্দপরে শব্দ যোগ করে নতুন শব্দ
বাগানফুলবাগানবাগানবাড়ি
বইপাঠ্যবইবইপত্র
আকাশনীল আকাশআকাশপথ
তেলআঁতেলতেলবাজ
হাতঅজুহাতহাতটান
মুখচন্দ্রমুখমুখরোচক
ঘররান্নাঘরঘরবাড়ি
রাস্তাচৌরাস্তারাস্তাঘাট
ফলআতাফলফলবান

এভাবে নিজেরা শব্দের আগে-পরে নতুন শব্দ যোগ করে নতুন নতুন শব্দ বানানোর খেলা খেলতে পারো।


Class 8 Bangla Page 80 – ৮ম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ৮০ সমাধান

কাজ-৪.১.৩ উপসর্গযোগে শব্দ গঠন করি: নিচের ছকের প্রথমে কলামে কয়েকটি উপসর্গ দেওয়া হলো। এসব উপসর্গের সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দ মাঝের কলামে লেখো। তৃতীয় কলামে লেখো উপসর্গ-সাধিত শব্দটি। তোমার বানানো শব্দগুলো যেন উপরের উপসর্গ-সাধিত শব্দের উদাহরণ থেকে আলাদা হয়। কাজ শেষে সহপাঠীকে তোমার কাজ দেখাও, তুমিও তার কাজ দেখো এবং একে অপরের কাজ নিয়ে আলোচনা করো। প্রথমটি করে দেখানো হলো।

কাজের ধরন: দলগত।
কাজের উদ্দেশ্য: উপসর্গের ধারণা প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের উপসর্গ-যোগে শব্দ গঠন করার দক্ষতা বৃদ্ধি করে তোলা।উপকরণ: পাঠ্যবই, খাতা, সাদা কাগজ, কলম প্রভৃতি।

কাজের ধারা:
১) শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসরণে প্রথমে সহপাঠীরা মিলে কয়েকটি দল গঠন কর।
২) দলের ছাত্রছাত্রীরা আলোচনা করে কারা কোন নমুনা উত্তরটি তৈরি করব তা ঠিক করে নেবে।
৩) উপসর্গের সাহায্যে শব্দ গঠন প্রক্রিয়াগুলো ভালো করে জেনে নেবে।
৪) নমুনা উত্তরের জন্য প্রয়োজনে অভিভাবক, এলাকার ব্যক্তিবর্গের মতামত নাও।

উপসর্গশব্দউপসর্গ-সাধিত শব্দ
অ +চেনাঅচেনা
অতি +বৃষ্টিঅতিবৃষ্টি
অধি +কারঅধিকার
অনা +বৃষ্টিঅনাবৃষ্টি
অনু +গামীঅনুগামী
অপ +মানঅপমান
অব +রোধঅবরোধ
আ +কণ্ঠআকণ্ঠ
উৎ +ক্ষিপ্তউৎক্ষিপ্ত
উপ +কূলউপকূল
কু +কথাকুকথা
গর +মিলগরমিল
দর +দালানদরদালান
দুঃ +সময়দুঃসময়
দুর +মূল্যদুর্মূল্য
দুস্ +প্রাপ্যদুষ্প্রাপ্য
না +লায়েকনালায়েক
নি +বারণনিবারণ
নিঃ +শেষনিঃশেষ
নির্ +আকারনিরাকার
নিস্ +তরঙ্গনিস্তরঙ্গ
পরা +শক্তিপরাশক্তি
পরি +সীমাপরিসীমা
পাতি +হাঁসপাতিহাঁস
প্র +তাপপ্রতাপ
প্রতি +মূর্তিপ্রতিমূর্তি
বদ +মেজাজবদমেজাজ
বি +চরণবিচরণ
বে + তারবেতার
ভর +পেটভরপেট
স +ঠিকসঠিক
সম +রাজসম্রাট
সু +দিনসুদিন
হা +ভাতেহা-ভাতে

Class 8 Bangla Page 84 – ৮ম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ৮৪ সমাধান

কাজ-৪.১.৪ প্রত্যয় যোগে শব্দ গঠন করি: নিচের ছকের দ্বিতীয় কলামে কয়েকটি প্রত্যয় দেওয়া হলো। প্রথম কলামে এমন কিছু ক্রিয়ামূল বা নামশব্দ লেখো যেগুলো এসব প্রত্যয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়। তৃতীয় কলামে লেখো প্রত্যয়-সাধিত শব্দটি। তোমার বানানো শব্দগুলো যেন উপরের প্রত্যয়-সাধিত শব্দের উদাহরণ থেকে আলাদা হয়। কাজ শেষে সহপাঠীকে তোমার কাজ দেখাও, তুমিও তার কাজ দেখো এবং একে অপরের কাজ নিয়ে আলোচনা করো। প্রথমটি করে দেখানো হলো।

কাজের ধরন: দলগত।
কাজের উদ্দেশ্য: প্রত্যয়ের ধারণা প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের প্রত্যয়-যোগে শব্দ গঠন করার দক্ষতা বৃদ্ধি করে তোলা।
উপকরণ: পাঠ্যবই, খাতা, সাদা কাগজ, কলম প্রভৃতি।

কাজের ধারা:
১) শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসরণে প্রথমে সহপাঠীরা মিলে কয়েকটি দল গঠন কর।
২) দলের ছাত্রছাত্রীরা আলোচনা করে কারা কোন নমুনা উত্তরটি তৈরি করব তা ঠিক করে নেবে।
৩) প্রত্যয়ের সাহায্যে শব্দ গঠন প্রক্রিয়াগুলো ভালো করে জেনে নেবে।
৪) নমুনা উত্তরের জন্য প্রয়োজনে অভিভাবক, এলাকার ব্যক্তিবর্গের মতামত নাও।

ক্রিয়ামূল বা নামশব্দপ্রত্যয়প্রত্যয়-সাধিত শব্দ
শিক্ষা+ অকশিক্ষক
কাঁদ+ অনাকান্না
শুচ্+ অনীয়শোচনীয়
ফুট+ অন্তফুটন্ত
জল+ আজলা
চোর+ আইচোরাই
জানা+ আনজানান
বাবু+ আনাবাবুয়ানা
বাবু+ আনিবাবুআনি
জানান+ আনোজানানো
পাগল+ আমিপাগলামি
দিশা+ আরিদিশারি
বোমা+ আবুবোমারু
ধার+ আলোধারালো
নগর+ ইকনাগরিক
দুঃখ+ ইতদুঃখিত
নীল+ ইমানীলিমা
ফেন+ ইলফেনিল
জ্ঞান+ ঈজ্ঞানী
রাষ্ট্র+ ঈয়রাষ্ট্রীয়
লাজ+ উকলাজুক

শিক্ষক সহায়িকা অনুসরণে অতিরিক্ত কাজ/অ্যাক্টিভিটি

কাজ-১: ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সামাজিক স্বার্থ’ গদ্যাংশের বিষয়বস্তু লেখ।

নমুনা উত্তর: স্বার্থপরতা আর পরার্থপরতা মানুষের প্রকৃতিগত। আমাদের সমাজে এই দুই শ্রেণির মানুষ দেখা যায়। স্বার্থপর মানুষ আত্মকেন্দ্রিক। তাদের কাছে ব্যক্তিগত স্বার্থই প্রধান। পরার্থপর মানুষ নিজের উন্নতি না করে সামগ্রিকভাবে সমাজের উন্নতি করে। তাঁরাই সমাজের মেরুদন্ড। তাঁদের ওপরেই সমাজের মঙ্গল এবং উন্নতি নির্ভর করে। মানব ইতিহাস মূলত দ্বন্দ্ব-সংগ্রামের ইতিহাস। এই সংগ্রাম-দ্বন্দ্বে যারা জয়ী হয় মূলত তারাই সমাজে উচ্চতর আসনে জায়গা পায়। বাকিরা নিম্নতর স্থান অধিকার করে পড়ে থাকে।

কাজ-২: নিচের অনুচ্ছেদ থেকে সমাস-সাধিত শব্দ খুঁজে বের কর এবং গঠন প্রক্রিয়া নির্দেশ কর।

শিমুল ও মিতালী ভাই-বোন। গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা সহজ-সরল শিশু দুটি বিদ্যাবুদ্ধিতে অসাধারণ। কুসুমকোমল মিতালী লেখাপড়ায় যেমন পটু, একইভাবে গৃহকর্মেও নিপুণ। অন্যদিকে মিশকালো শিমুল সারাদিন বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে শশব্যস্ত। গ্রামের মেঠো পথঘাট, নদ-নদীতে দৌড়-ঝাঁপ করেই তার বেলা কেটে যায়।

নমুনা উত্তর: অনুচ্ছেদের সমাস-সাধিত শব্দগুলো হচ্ছে- ভাই-বোন, সহজ-সরল, বিদ্যাবুদ্ধি কুসুমকোমল, লেখাপড়া, মিশকালো, বনে-জঙ্গলে, শশব্যস্ত, পথঘাট, নদ-নদী, ইত্যাদি।

গঠন প্রক্রিয়া:

শব্দ শব্দসমাস-সাধিত শব্দব্যাসবাক্য
ভাই + বোনভাই-বোনভাই ও বোন
সহজ + সরলসহজ-সরলসহজ ও সরল
বিদ্যা + বুদ্ধিবিদ্যাবুদ্ধিবিদ্যা ও বুদ্ধি
কুসুম + কোমলকুসুমকোমলকুসুমের মতো কোমল
লেখা + পড়ালেখাপড়ালেখা ও পড়া
মিশ + কালোমিশকালোমিশির মতো কালো
বনে + জঙ্গলেবনে-জঙ্গলেবনে ও জঙ্গলে
শশ+ ব্যস্তশশব্যস্তশশকের ন্যায় ব্যস্ত
পথ + ঘাটপথঘাটপথ ও ঘাট
নদ + নদীনদ-নদীনদ ও নদী

কাজ-৩: নিচে কয়েকটি শব্দ দেওয়া হলো। শব্দগুলোর আগে-পিছে নতুন শব্দ যোগ করে সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠন কর।

গাছ, চন্দ্র, বাড়ি, তাজা, নীল, পথ, ভাজা, বস্ত্র, পাথর, নদী।

নমুনা উত্তর:

শব্দআগে শব্দ যোগ করে নতুন শব্দপরে শব্দ যোগ করে নতুন শব্দ
গাছআমগাছগাছপাকা
চন্দ্রপূর্ণচন্দ্রচন্দ্রমুখ
বাড়িমামাবাড়িবাড়ি-গাড়ি
তাজামোটাতাজাতাজা মাছ
নীলগাঢ়নীলনীলাকাশ
পথমেঠোপথপথঘাট
ভাজাবেগুনভাজাভাজা-পোড়া
বস্ত্রছিন্নবস্ত্রবস্ত্রহীন
পাথরশ্বেতপাথরপাথরকুচি
নদীউপনদীনদী-নালা

৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ স্পেশাল কুইজ।

প্রশ্ন ১. ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সামাজিক স্বার্থ’ গ্রন্থটি কোন বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সামাজিক স্বার্থ’ গ্রন্থটি ‘ভবিষ্যতের বাঙালি’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ২. এস. ওয়াজেদ আলি কোন শতকের সাহিত্যিক ছিলেন?
উত্তর: এস. ওয়াজেদ আলি উনিশ শতকের সাহিত্যিক ছিলেন।

প্রশ্ন ৩. ‘মোটরযোগে রাঁচি সফর’ গ্রন্থটির লেখক কে?
উত্তর: ‘মোটরযোগে রাঁচি সফর’ গ্রন্থটির লেখক এস. ওয়াজেদ আলি।

প্রশ্ন ৪. ‘গুলদাস্তা’ গ্রন্থটির লেখক কে?
উত্তর: ‘গুলদাস্তা’ গ্রন্থটির লেখক এস. ওয়াজেদ আলি।

প্রশ্ন ৫. এস. ওয়াজেদ আলি কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: এস. ওয়াজেদ আলি ১৯৫১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশ্ন ৬. এস. ওয়াজেদ আলি কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: এস. ওয়াজেদ আলি ১৮৯০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ৭. ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সামাজিক স্বার্থ’ গ্রন্থটির লেখক কে?
উত্তর: ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সামাজিক স্বার্থ’ গ্রন্থটির লেখক এস. ওয়াজেদ আলি।

প্রশ্ন ৮. বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের প্রধান উপায় কোনটি?
উত্তর: বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের প্রধান উপায় তিনটি।

প্রশ্ন ৯. দুটি শব্দকে একটি শব্দে পরিণত করাকে কী বলা হয়?
উত্তর: দুটি শব্দকে একটি শব্দে পরিণত করাকে সমাস বলে।

প্রশ্ন ১০. সমস্তপদ কাকে বলে?
উত্তর: সমাসের মাধ্যমে গঠিত শব্দকে বলা হয় সমস্তপদ।

প্রশ্ন ১১. সমাস-সাধিত শব্দকে ব্যাখ্যা করা হয় সে শব্দগুচ্ছকে কী বলা হয়?
উত্তর: সমাস-সাধিত শব্দকে ব্যাখ্যা করা হয় সে শব্দগুচ্ছকে

প্রশ্ন ১২. সমাস শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপ বা মিলন।

প্রশ্ন ১৩. ‘পথের রাজা’- কোন সমাস?
উত্তর: ‘পথের রাজা’ ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।

প্রশ্ন ১৪. ‘মা ও বাবা’- কোন সমাস?
উত্তর: ‘মা ও বাবা’ দ্বন্দ্ব সমাস।

প্রশ্ন ১৫. ‘ঘিয়ে ভাজা’- কোন সমাস?
উত্তর: ‘ঘিয়ে ভাজা’ তৃতীয় তৎপুরুষ সমাস।

প্রশ্ন ১৬. সমস্তপদের কয়টি অংশ?
উত্তর: সমস্তপদের দুটি অংশ।

প্রশ্ন ১৭. সমস্ত পদের প্রথম পদকে কী বলে?
উত্তর: সমস্তপদের প্রথম পদকে পূর্বপদ বলে।

প্রশ্ন ১৮. সমস্তপদের শেষ পদকে কী বলে?
উত্তর: সমস্তপদের শেষ পদকে পরপদ বলে।

প্রশ্ন ১৯. উপসর্গ শব্দের কোথায় বসে?
উত্তর: উপসর্গ শব্দের আগে/শুরুতে বসে।

প্রশ্ন ২০. উপসর্গ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব শব্দের প্রথম অংশ সাধারণত কোনো অর্থ প্রকাশ করে না, কিন্তু দ্বিতীয় অংশের অর্থ থাকে, সেসব শব্দকে উপসর্গ বলে।

প্রশ্ন ২১. উপসর্গ কত প্রকার?
উত্তর: উপসর্গ তিন প্রকার।

প্রশ্ন ২২. খাঁটি বাংলা উপসর্গ কয়টি?
উত্তর: খাঁটি বাংলা উপসর্গ একুশটি।

প্রশ্ন ২৩. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ কয়টি?
উত্তর: সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বিশটি।

প্রশ্ন ২৪. উপসর্গের কী নেই?
উত্তর: উপসর্গের অর্থ নেই।

প্রশ্ন ২৫. ‘পাতিহাঁস’ শব্দটিতে কোন ধরনের উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: ‘পাতিহাঁস’ শব্দটিতে খাঁটি বাংলা তৎসম শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রশ্ন ২৬. প্রত্যয়-সাধিত শব্দ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব শব্দের প্রথম অংশ অর্থযুক্ত এবং দ্বিতীয় অংশ অর্থহীন, সেসব শব্দকে প্রত্যয়-সাধিত শব্দ বলে।

প্রশ্ন ২৭. কৃৎ-প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তর: ক্রিয়ামূলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রত্যয়কে বলা হয় কৃৎ-প্রত্যয়।

প্রশ্ন ২৮. তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তর: নাম শব্দের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রত্যয়কে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।

প্রশ্ন ২৯. ধাতু কাকে বলে?
উত্তর: ক্রিয়ার মূলকে ধাতু বলে।

প্রশ্ন ৩০. ‘দৈনিক’ শব্দটি কোন প্রত্যয়-সাধিত শব্দ?
উত্তর: ‘দৈনিক’ শব্দটি তদ্ধিত প্রত্যয়-সাধিত শব্দ।

প্রশ্ন ৩১. ‘নীলিমা’ শব্দটি কোন প্রত্যয় দ্বারা গঠিত?
উত্তর: ‘নীলিমা’ শব্দটি তদ্ধিত প্রত্যয় দ্বারা গঠিত।


আরও দেখুন: শব্দদ্বিত্ব – ৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ প্রশ্নোত্তর
আরও দেখুন: বাক্য – ৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদ প্রশ্নোত্তর


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল আপডেট পেতে ফলো করে রাখতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ, এবং ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।