|

শব্দদ্বিত্ব – ৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ প্রশ্নোত্তর

৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ: ‘নদী’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নদী’ কাব্য থেকে সংকলন করা হয়েছে। নদী কবিতায় নদীর বিভিন্ন ধর্ম বর্ণনা করা হয়েছে। নদী কীভাবে ছুটে চলে, নদীর আশেপাশের পরিলে কেমন, নদীকেন্দ্রিক বিভিন্ন প্রাণীর আবর্তন ইত্যাদি বিষয়ের নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছেন কবি।

নদীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে বলে এই কবিতার নাম ‘নদী’। এ কবিতা পড়ে শিক্ষার্থীরা নদীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং বিভিন্ন প্রকার শব্দদ্বিত্ব সম্পর্কে জানবে ও এর ব্যবহার শিখবে।


শব্দদ্বিত্ব – ৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ প্রশ্নোত্তর

Class 8 Bangla Page 90 – ৮ম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ৯০ সমাধান

কাজ-৪.২.১ শব্দম্বিত্ব খুঁজি: ‘নদী’ কবিতায় এমন কিছু শব্দের প্রয়োগ আছে যেগুলো একই রকমের দুটি শব্দ দিয়ে তৈরি; যেমন বল+ কল = কলকল। কিছু শব্দ আবার সামান্য বদলে ভিন্ন রকম হয়েছে; যেমন হেলা+ হেলি = হেলাহেলি। আবার কিছু শব্দ পাশাপাশি দুইবার এসেছে; যেমন ঘুরে ঘুরে ঘুরে ঘুরে। কবিতাটি থেকে এই ধরনের অন্তত দশটি শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচে লেখো। লেখা শেষ হলে সহপাঠীদের সঙ্গে মেলাও এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো।

কাজের ধরন: দলগত।
কাজের উদ্দেশ্য: বিভিন্ন ধরনের শব্দদ্বিত্বের ব্যবহার ও বাক্য তৈরি সময় শব্দম্বিত্ব প্রয়োগে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে তোলা।
উপকরণ: পাঠ্যবই, খাতা, সাদা কাগজ, কলম প্রভৃতি।

কাজের ধারা:

  • শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসরণে প্রথমে সহপাঠীরা মিলে কয়েকটি দল গঠন কর।
  • দলের ছাত্রছাত্রীরা আলোচনা করে কারা কোন নমুনা উত্তরটি তৈরি করব তা ঠিক করে নেবে।
  • শব্দয়িত্বের ব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবে।
  • নমুনা উত্তরের জন্য প্রয়োজনে অভিভাবক, এলাকার ব্যক্তিবর্গের মতামত নাও।

নমুনা উত্তর:

দলে দলেঝিকিঝিকসখীতে সখীতে
গায়ে গায়েঝরঝরথরথর
খানখানবড়ো বড়োপড়ো-পড়ো
ঝাঁকে ঝাঁকেতীরে তীরেদিয়ে দিয়ে
চাকাচাকাকানায় কানায়সরে সরে
চুপিচুপিচকো চকোখলখল

Class 8 Bangla Page 91 – ৮ম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ৯১ সমাধান

কাজ-৪.২.২ কোন ধরনের শব্দদ্বিত্ব: নিচের বাক্যগুলোতে কোন ধরনের শব্দদ্বিত্ব ব্যবহৃত হয়েছে তা কারণসহ বলো। প্রয়োজনে সহপাঠীর সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারো।

ক. কদিন ধরে আমার জ্বর জ্বর লাগছে।
উত্তর: এটি পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। কারণ একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হয়েছে।

খ. ঠাকুরমার ঝুলিতে অনেক মজার মজার গল্প আছে।
উত্তর: এটি পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। কারণ একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হয়েছে।

গ. এ বয়সে মন উড়ু উডু হওয়াটাই স্বাভাবিক।
উত্তর: এটি পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। কারণ একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহূত হয়েছে।

ঘ. এখন থেকে তাকে চোখে চোখে রাখতে হবে।
উত্তর: এটি পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। কারণ একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হয়েছে।

ঙ. রাত্রির গাঢ় অন্ধকারেও বিড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করে।
উত্তর: এটি ধ্বন্যাত্মক দ্বিত। কারণ এটি একাধিক ধ্বন্যাত্মক শব্দ দ্বারা গঠিত হয়েছে।

চ. কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা ভালো নয়।
উত্তর: এটি অনুকার দ্বিত্ব। কারণ কাছাকাছি চেহারার শব্দ পাশাপাশি বসেছে।

ছ. কদিন আগেও তো তাদের মধ্যে গলাগলি দেখলাম!
উত্তর: এটি অনুকার দ্বিত্ব। কারণ কাছাকাছি চেহারার শব্দ পাশাপাশি বসেছে।

জ. লোকটি হনহন করে হেঁটে গেল।
উত্তর: এটি ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব। কারণ এখানে হাঁটার ধরন কল্পনা করে নেওয়া হয়েছে।

ঝ. শনশন বায়ু বইছে।
উত্তর: এটি ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব। বায়ুপ্রবাহের শব্দ কল্পনা করা হয়েছে।

ঞ. আজ হাড় কনকনে শীত!
উত্তর: এটি ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব। কারণ শীতের ধরন কল্পনা করে কাল্পনিক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

ট. কবি কবি চেহারা অমলের।
উত্তর: এটি পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব। কারণ একই শব্দ পরপর বসেছে।


Class 8 Bangla Page 92 – ৮ম শ্রেণির বাংলা পৃষ্ঠা ৯২ সমাধান

কাজ-৪.২.৩ শব্দষিত্ব দিয়ে বাক্য বানাই: নিচের শব্দদ্বিত্বগুলো ব্যবহার করে বাক্য বানাও (যেকোনো দশটি)। কথায় কথায়, টাপুর টুপুর, রোজ রোজ, ঝমঝম, চুপচাপ, ছমছম, কনকনে, আশায় আশায়, ঘুম ঘুম, ঠুক ঠুক, ঢং ঢং, ঘর-টর, হায় হায়, ভুলটুল, ব্যাপার স্যাপার।

নমুনা উত্তর:

১. কথায় কথায় রাগ করা ভালো নয়।
২. টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে।
৩. রোজ রোজ বকা খেতে কার ভালো লাগে?
৪. রেলগাড়ি ঝমঝম, পা পিছলে আলুর দম।
৫. কী ব্যাপার, সবাই চুপচাপ কেন?

৬. ভয়ে আমার গা ছমছম করছিল।
৭. পৌষের কনকনে ঠান্ডায় শিশুটি কষ্ট পাচ্ছে।
৮. সুদিনের আশায় আশায় মানুষের দিন কেটে যায়।
৯. আমার ঘুম ঘুম লাগছে।
১০. সে ঠুক ঠুক করে দেয়ালে পেরেক ঠুকছে।

১১. ঢং ঢং করে ঘণ্টা বাজছে।
১২. তোমার এলাকায় ঘর-টর ভাড়া পাওয়া যাবে?
১৩. হায় হায়- কী করে এমন অবস্থা হলো?
১৪. ভুলটুল হলে ক্ষমা করে দেবেন।
১৫. চৌধুরীর ছেলের বিয়ে- ব্যাপার স্যাপারই আলাদা।


শিক্ষক সহায়িকা অনুসরণে অতিরিক্ত কাজ/অ্যাক্টিভিটি

কাজ-১: ‘নদী’ কবিতাটি পড়ে এর বিষয়বস্তু কতটা বুঝতে পারলে সেটি যাচাই করার জন্য নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

১. ‘নদী’ কবিতাটিতে কোন বিষয়ের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে?
নমুনা উত্তর: নদী কবিতাটিতে নদীর বয়ে চলার ধরন, বিভিন্ন মৌসুমে নদীর যে বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। নদীর যে ধর্ম, নদীকে কেন্দ্র করে মানুষ-পশুপাখির ‘যে আবর্তন, নদীর আশপাশে বিভিন্ন বিষয়ের যে অবস্থা তার বর্ণনাই নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে এ কবিতায়।

২. ‘নদী’ কবিতায় নদীর সাথে কত ধরনের পশু-পাখির জীবনের সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে?
নমুনা উত্তর: ‘নদী’ কবিতায় নদীর সাথে বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখির সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে। কবিতায় গাঙশালিক, কাছিম, বুনো হাঁস, চখাচখি, কুমির, চিতাবাঘ ইত্যাদি প্রাণীর সঙ্গে নদীর সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে।

৩. ‘নদী’ কবিতা পড়ে নদীর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
নমুনা উত্তর: নদী’ কবিতা অনুযায়ী নদীর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো-

ক. নদী যত দ্রুত চলে তত দ্রুত অন্য নদীর সাথে মিশে যায়।
খ. নদী চলার সময় কল কল ধ্বনি সৃষ্টি হয়।
গ. নদী চলার সময় স্রোতের কারণে অনেক সময় পাড়ের গাছগাছালি ভেঙে পড়ে।
ঘ. পাহাড় বেয়ে নদী যখন নামে তখন বড়ো বড়ো পাথরের চাপ ভেঙে পড়ে।
ঙ. নদীর পানি যখন শুকিয়ে যেতে থাকে তখন নদীতে বালুচর জেগে ওঠে।

চ. শীতকালে নদীতে বুনো হাঁস ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে বেড়ায়।
ছ. নদীতে জোয়ারের সময় পানি কানায় কানায় ভরে ওঠে।
জ. ভাঁটার সময় আবার নদীর পানি কমে যায়।
ঝ. নদীর সাথে অনেক মাটি ভেসে যায়।
ঞ. নদীর পানি বয়ে চলার সময় মাঝে মাঝে পাক খায়।

৪ . ‘নদী’ কবিতায় নদীর প্রতি কবির কী ধরনের চিন্তা ও আবেগ প্রকাশ পেয়েছে?
নমুনা উত্তর: ‘নদী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত কবিতা। প্রকৃতিপ্রেমী এই কবি নদীকে খুবই ভালোবাসতেন। নদীর উৎপত্তি থেকে শুরু করে চলার ধরন ও নদীর ধর্ম এ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। তিনি কবিতায় নদীর চিরায়ত বয়ে চলাকে প্রকাশ করতে গিয়ে নদী যে অনেক প্রাণীর আশ্রয় এ বিষয়টিও নির্দেশ করেছেন।

নদী যে তার চলার পথে কোনো বাধাই পরোয়া করে না- নদীকে নিয়ে কবির এই চিন্তার প্রকাশ পেয়েছে। আবার নদী যে বিভিন্ন প্রাণীকে আশ্রয় দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে নদীর প্রতি কবির ইতিবাচক আবেগের প্রকাশ ঘটেছে।

কাজ-২: নিচের লেখা থেকে শব্দদ্বিত্বগুলো খুঁজে বের কর।

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য বলতে বোঝায় সুস্বাস্থ্য। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে সবার আগে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। আর এজন্য রাতে দ্রুত বিছানায় যেতে হবে এবং সকাল সকাল বিছানা ছাড়তে হবে। সকালের ঠান্ডা ঠান্ডা নির্মল বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। কেউ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমায় তাহলে সে কোনো কাজ ভালোভাবে করতে পারবে না। কারণ ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়া যায় না। ঘুমের পাশাপাশি ভালো ভালো স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন শরীরচর্চা করতে হবে। দিনে দিনে নিজেদের মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হব এবং নিজেদের প্রতিদিনের কাজবাজ ভালোভাবে শেষ করতে পারব।

নমুনা উত্তর: উপরের লেখা থেকে শব্দদ্বিত্বগুলো খুঁজে বের করা হলো- সকাল সকাল, ঠান্ডা ঠান্ডা, ঘুম ঘুম, ভালো ভালো, দিনে দিনে, কাজবাজ।

কাজ-৩: নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে শব্দদ্বিত্ব শনাক্ত করে শ্রেণি নির্ণয় কর।

কয়েক দিন যাবৎ ঘন ঘন বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকাল থেকেও টাপুর টুপুর করে বৃষ্টি পড়ছে। এমন সময় রহিম. ও করিম দুভাই মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে টানাটানি শুরু করে। ঝগড়ায় কিছুটা বিরাম দিয়ে তারা গপাগপ করে সব মিষ্টি খেয়ে ফেলল। তাদের মা দুভাইকে হাতে-নাতে ধরে বাবার কাছে নালিশ দেয়। তারা বাবার সামনে গুটিশুটি হয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।

নমুনা উত্তর: অনুচ্ছেদের শব্দদ্বিত্বগুলো হচ্ছে-
ঘন ঘন, টাপুর টুপুর, টানাটানি, গপাগপ, হাতে-নাতে, গুটিশুটি, চুপচাপ।

শব্দদ্বিত্বের শ্রেণি নির্ণয়:

শব্দদ্বিত্বশব্দন্বিত্বের শ্রেণি
ঘন ঘনপুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
টাপুর টুপুরধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
টানাটানিঅনুকার দ্বিত্ব
গপাগপধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
হাতে-নাতেঅনুকার দ্বিত্ব
গুটিশুটিঅনুকার দ্বিত্ব
চুপচাপঅনুকার দ্বিত্ব

কাজ-৫: অনুকার দ্বিত্ব ও ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব এ দুয়ের মধ্য পার্থক্য কী?

নমুনা উত্তর: অনুকার দ্বিত্ব ও ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব- এ দুয়ের মধ্য পার্থক্য হলো:

ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বঅনুকার দ্বিত্ব
কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয় সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। একাধিক ধ্বন্যাত্মক শব্দ মিলে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব তৈরি হয়।পরপর প্রয়োগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে। এতে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও প্রায় ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শব্দটি অর্থহীন হয় এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি হয়।
যেমন- কুট কুট, হিস হিস, শোঁ শোঁ ইত্যাদি।যেমন- অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, ছাগল-টাগল ইত্যাদি।

কাজ-৬: পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব হতে হলে কী ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়?

নমুনা উত্তর: পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। নিচে তা উল্লেখ করা হলো-

১ . একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হবে। যেমন- জ্বর জ্বর, হাতে হাতে।
২. পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বিভত্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত হতে পারে। যেমন- পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, জোরে জোরে ইত্যাদি।

কাজ-৭: চোখে চোখে, ধুপধাপ, কাড়াকাড়ি- এ তিনটির প্রতিটি কী ধরনের শব্দদ্বিত্ব?

নমুনা উত্তর:
চোখে চোখে → পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব।
কাড়াকাড়ি → অনুকার দ্বিত্ব।
ধুপধাপ → ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব।

কাজ-৮: নিচের শব্দদ্বিত্ব দিয়ে বাক্য রচনা কর।

ঘন ঘন, মাথামুন্ড, টকা-পয়সা, ধীরে-সুস্থে, ভালোয় ভালোয়, হাতেনাতে, ঝনঝন, গপাগপ, টানাটানি, উলটা-পালটা।

নমুনা উত্তর:
ঘন ঘন → কয়েক দিন যাবৎ ঘন ঘন বৃষ্টি হচ্ছে।
মাথামুন্ড → তোমার কথার কোনো মাথামুন্ড বুঝতে পারছি না।
টাকা-পয়সা → তার সাথে টাকা-পয়সা লেনদেন হতো একসময়।
ধীরে-সুস্থে → কাজটা ধীরে-সুস্থে করো।

ভালোয় ভালোয় → ভালোয় ভালোয় কাজটি শেষ করে ফেল।
হাতেনাতে → পুলিশ চোরটিকে হাতেনাতে ধরেছে।
ঝনঝন → ঝনঝন করে থালা পড়ার শব্দ হলো।
গপাগপ → মিষ্টি পেয়ে ছেলেটি গপাগপ খেয়ে ফেলল।
টানাটানি → দুভাই টানাটানি করে জামাটি ছিড়েই ফেলল।
উলটা-পালটা → উলটা-পালটা কথা বলে সময় নষ্ট করো না।


অ্যাসাইনমেন্ট: ধ্বন্যাত্মক, অনুকার ও পুনরাবৃত্ত দ্বিত্বের শব্দ ব্যবহার করে বাক্য রচনা কর।

নমুনা উত্তর:
অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম: শব্দদ্বিত্ব দিয়ে বাক্য রচনা।

ধ্বন্যাত্মক শব্দদ্বিত্ব দিয়ে বাক্য রচনা-
১. বৃদ্ধ লোকটি খক খক করে কাশছে।
২. এত হি হি করে হাসার কারণ কী?
৩. ঝমঝম করে বৃষ্টি নামল।

অনুকার শব্দদ্বিত্ব দিয়ে বাক্য রচনা-

১. ছেলেটি টেনেটুনে পাশ করেছে।
২. এইমাত্র খাবার-দাবার শেষ হয়েছে।
৩. বাবলু এখনও হাবাগোবাই থেকে গেল।

পুনরাবৃত্ত শব্দদ্বিত্ব দিয়ে বাক্য রচনা-

১. আমার জ্বর জ্বর বোধ হচ্ছে।
২. বস্তা বস্তা চাল ভরে নিয়ে ট্রাকটি চলে গেল।
৩. জোরে জোরে পা চাওলাও, দ্রুত পৌছুতে হবে।


৮ম শ্রেণির বাংলা ৪র্থ অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ স্পেশাল কুইজ

প্রশ্ন ১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ

প্রশ্ন ৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রশ্ন ৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।

প্রশ্ন ৫. কবি কীসের শব্দকে মল-চুড়ির শব্দের সাথে তুলনা করেছেন?
উত্তর: কবি নুড়ির শব্দকে মল-চুরির শব্দের সাথে তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন ৬. কী থরথর করে কেঁপে ওঠে?
উত্তর: পাথর থরথর করে কেঁপে ওঠে।

প্রশ্ন ৭. নদী কীভাবে পথ চলে?
উত্তর: নদী কেটে কুটে পথ চলে।

প্রশ্ন ৮. গাঙশালিকের ঘর কোথায়?
উত্তর: গাঙশালিকের ঘর ধু ধু বালুচরে।

প্রশ্ন ৯. বালির তলে কে ডিম পেড়ে চলে আসে?
উত্তর: কাছিম বালির তলে ডিম পেড়ে চলে আসে।

প্রশ্ন ১০. নদীতে বুনো হাঁস কোন সময় ঝাঁকে ঝাঁকে বাস করে?
উত্তর: নদীতে শীতকালে বুনো হাঁস ঝাঁকে ঝাঁকে বাস করে।

প্রশ্ন ১১. সারাদিন কে বকাবকি করে?
উত্তর: চখাচখি সারাদিন বকাবকি করে।

প্রশ্ন ১২. কে নদীর পাড়ে রোদ পোহায়?
উত্তর: কুমির নদীর পাড়ে রোদ পোহায়।

প্রশ্ন ১৩. কে চুপিচুপি ঘাটে এসে জল খায়?
উত্তর: চিতা বাঘ চুপিচুপি ঘাটে এসে জল খায়।

প্রশ্ন ১৪. নদীতে কখন ফুল ফল ভেসে আসে?
উত্তর: জোয়ারের সময় নদীতে ফুল ফল ভেসে আসে।.

প্রশ্ন ১৫. ‘চিক’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চিক শব্দের অর্থ গলায় পরার অলংকার।

প্রশ্ন ১৬. শব্দদ্বিত্ব কাকে বলে?
উত্তর: অভিন্ন বা সামান্য পরিবর্তিত চেহারার কোনো শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হলে তাকে শব্দদ্বিত্ব বলে।

প্রশ্ন ১৭. শব্দদ্বিত্ব কয় ধরনের?
উত্তর: শব্দদ্বিত্ব তিন ধরনের।

প্রশ্ন ১৮. ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যেসব শব্দ তৈরি হয়, সেগুলোকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলে।

প্রশ্ন ১৯. অনুকার দ্বিত্ব কাকে বলে?
উত্তর : পরপর প্রয়োগ হওয়া কাছাকাছি চেহারার শব্দকে অনুকার দ্বিত্ব বলে।

প্রশ্ন ২০. পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব কাকে বলে?
উত্তর: একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হলে তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলে।


আরও দেখুন: ৮ম শ্রেণির সকল বিষয় এর সমাধান
আরও দেখুন: ৮ম শ্রেণির বাংলা সকল অধ্যায় এর সমাধান


আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল আপডেট পেতে ফলো করে রাখতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ, এবং ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।