৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৩ বড় প্রশ্ন
৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৩ বড় প্রশ্ন: মোবাইল ব্যাংকিং হলো একটি আর্থিক সেবা যা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রদান করা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারে। যেমন: টাকা জমা করা, টাকা উত্তোলন, টাকা পাঠানো, টাকা গ্রহণ করা এবং বিল পরিশোধ করা। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে। যেমন: বিকাশ, নগদ, রকেট এবং ট্যাপ-ট্যাপ।
৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৩ বড় প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। ওয়েব হোস্টিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: ওয়েব হোস্টিং এমন একটি সার্ভিস যা ইন্টারনেটের সমস্ত জায়গায় স্থান দেয়, এর অর্থ ওয়েব সাইটে প্রতিদিন আপলোড করা ইমেজ, ভিডিও, টেক্সট ফাইল, ডকুমেন্টস ইত্যাদি যা কিছু আছে সবই সঞ্চয় করা হয় ওয়েব হোস্টিং এর সহায়তায়। ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করা তথ্য যে কেউ যেকোনো সময় অ্যাক্সেস করতে পারে। ওয়েব হোস্টিং, ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ভলিউম সমর্থন করে এবং ডেটা সুরক্ষিত করতে সহায়তা করে। ওয়েবসাইটের কর্মক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার জন্য সঠিক ওয়েব হোস্টিং নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ২। ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর: ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যাতে একটি ইলেকট্রনিক চিপ থাকে। ইলেকট্রনিক চিপের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকে যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ই-পাসপোর্টে যেসব বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয় তা হলো ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা দ্বারা পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক যাচাই করা হয়। এ পর্যন্ত ১২০টি দেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করা হয়ছে।
প্রশ্ন ৩। Squarespace সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর: দৃষ্টিনন্দন ও প্রফেশনাল লুকিং টেমপ্লেট-এর জন্য Squarespace একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টুল। যদিও এটি বিনামূল্যে হোস্টিং করার সার্ভিস দেয় না কিন্তু ক্রয়কৃত সার্ভিসের ফিচারগুলো দেখার জন্য ১৪ দিনের ফ্রি ট্রায়াল করার সুযোগ দেয়। নিজের যে কোনো ই-মেইল একাউন্ট, জি-মেইল বা ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে সাইন আপ করা যায়। ড্যাগ এন্ড ড্রপ পদ্ধতিতে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এটি একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ডেটার অনেক বিস্তারিত বিশ্লেষণ দেয়, এর ফলে ওয়েবসাইটকে জনপ্রিয় করার জন্য অপটিমাইজ করা যায়। এর ওয়েব অ্যাড্রেসটি হলো: www.square-space.com ।
প্রশ্ন ৪। Google sites ব্যবহার করা কেন সুবিধাজনক?
উত্তর: গুগলের এই ফ্রি টুলটির সাহায্যে কোনো রকম কোডিং স্কিল ছাড়াই সহজ ও দৃষ্টিনন্দন ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এখানে অনেক ব্যবহারকারীবান্ধব ইন্টারফেস পাওয়া যায়, যেখানে অনেক টেমপ্লেটস, থিমস এবং বিকল্প থাকে যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ডিজাইন করা যায়। এখানে খুব সহজেই গুগলের অন্যান্য সার্ভিসও (যেমন- গুগল ড্রাইভ, গুগল ম্যাপ ইত্যাদি) সংযুক্ত করা যায়। যদিও এটি বিনামূল্যে ওয়েবসাইট করার সুযোগ করে দেয়, তারপরও এটিতে বিভিন্ন আধুনিক থিম ব্যবহার করে অনেক প্রফেশনাল করা সম্ভব। সর্বোপরি Google sites ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করা যেকোনো নন প্রফেশনালদের জন্য বেশ সুবিধাজনক।
প্রশ্ন ১। বাংলাদেশের কোন কোন নাগরিক সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়? বর্ণনা কর।
উত্তর: বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক সেবা প্রদানের বিষয়ে সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। নিম্নে কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ বর্ণনা করা হলো:
জাতীয় পরিচয়পত্র: বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান একটি বাধ্যতামূলক সেবা। এই সেবাটি https://www.nidw.gov.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
ট্রেড লাইসেন্স: ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। এই সেবাটিও ডিজিটালভাবে প্রদান করা হচ্ছে। ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীদেরকে অনলাইনে আবেদন করতে হয় এবং পরবর্তীতে তাদের আবেদনটি অনলাইনেই অনুমোদন করা হয়।
পাসপোর্ট: বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। এই সেবাটিও ডিজিটালভাবে প্রদান করা হচ্ছে। এই সেবাটি https://www.epassport.gov.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র: শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যায়।
জমি রেকর্ড: বাংলাদেশের জমি রেকর্ড ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, জমির মালিকানা, জমির পরিমাণ, জমির ব্যবহার ইত্যাদি তথ্য ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করা হবে। এতে করে, জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সেবা ডিজিটালভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্যসেবা: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাই করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রোগীদের রেকর্ড, ওষুধের সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীদের যোগাযোগ ইত্যাদি তথ্য ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করা হবে।
এছাড়াও আরও অনেক নাগরিক সেবাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
প্রশ্ন ২। নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। ডিজিটাল প্রযুক্তি এই লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ডিজিটাল প্রযুক্তি নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে নিম্নলিখিতভাবে অবদান রাখতে পারে:
সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াটিকে উন্মুক্ত করে তোলে: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে, নাগরিকরা সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াটিকে উন্মুক্তভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এতে করে, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অনিয়মের সম্ভাবনা কমে যায়।
সেবা প্রদানের তথ্যগুলোকে ট্র্যাক করা সহজ করে তোলে: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সেবা প্রদানের তথ্যগুলোকে ট্র্যাক করা সহজ হয়ে যায়। এতে করে, সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়মের দ্রুত শনাক্তকরণ এবং প্রতিকার করা সম্ভব হয়।
সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি করে: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এতে করে, সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা কমে যায়।
ডিজিটাল প্রযুক্তি নাগরিক সেবায় জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে নিম্নলিখিতভাবে অবদান রাখতে পারে:
সেবা প্রদানকারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলোকে স্পষ্ট করে তোলে: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেবা প্রদানকারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলোকে স্পষ্ট করে তোলা সম্ভব হয়। এতে করে সেবা প্রদানকারীরা তাদের দায়িত্ব ও ‘কর্তব্যগুলোর প্রতি আরও সচেতন হয়।
সেবা প্রদানকারীদের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করা সহজ করে তোলে: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সেবা প্রদানকারীদের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করা সহজ হয়ে যায়। এতে করে, সেবা প্রদানকারীদের কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
সেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সহজ করে তোলে: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সহজ হয়ে যায়। এতে করে, সেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অন্য কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
প্রশ্ন ৩। সুশাসন স্থাপনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের কি কি নীতিমালা অনুসরণ করা প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সুশাসন স্থাপনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছতা বলতে বোঝায় যে, সরকারের কার্যক্রমগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত। জবাবদিহিতা বলতে বোঝায় যে, সরকারের কর্মকর্তাদের তাদের কার্যক্রমের জন্য জনসাধারণের কাছে দায়ী হওয়া উচিত। সুশাসন স্থাপনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নীতিমালাগুলো অনুসরণ করা প্রয়োজন:
সরকারের তথ্য প্রকাশ: সরকারের সমস্ত তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত। এতে করে, জনগণ সরকারের কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেগুলোর উপর নজরদারি করতে পারে।
সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্পষ্ট করা: সরকারের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা উচিত। এতে করে, কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলোর প্রতি আরও সচেতন হয় এবং সেগুলোর জন্য দায়ী থাকে।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সহজ করা: সরকারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সহজ করা উচিত। এতে করে, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অন্য কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুশাসন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণ সরকারের কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেগুলোর উপর নজরদারি করতে পারে।
নাগরিক সমাজের উন্নয়ন: নাগরিক সমাজের উন্নয়ন সুশাসন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাগরিক সমাজ সরকারের কার্যক্রমগুলোর উপর নজরদারি করতে এবং দুর্নীতি বা অন্য কোনো অনিয়ম প্রতিরোধে সহায়তা। করতে পারে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি: আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি সুশাসন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দুর্নীতি বা অন্য কোনো অনিয়ম দমন করতে সহায়তা করতে পারে।
প্রশ্ন ৪। একটি ওয়েবসাইট তৈরির পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে কোন কোন জিনিস বিবেচনা করা উচিত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: একটি ওয়েবসাইট তৈরির পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত জিনিসগুলো বিবেচনা করা উচিত:
ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য: ওয়েবসাইটটি কেন তৈরি করা হচ্ছে সেটি প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েবসাইটটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে কিনা, নাকি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু, ডিজাইন এবং ফাংশনগুলো নির্ধারণ করা সহজ হয়।
ওয়েবসাইটের লক্ষ্য দর্শক: ওয়েবসাইটটি কাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েবসাইটের লক্ষ্য দর্শক নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু এবং ভাষার ধরন নির্ধারণ করা সহজ হয়।
ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু: ওয়েবসাইটের মূল বিষয়বস্তু কি হবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কাঠামো এবং পৃষ্ঠাগুলোর তালিকা তৈরি করা সহজ হয়।
ওয়েবসাইটের ডিজাইন: ওয়েবসাইটের চেহারা এবং অনুভূতি কি হবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েবসাইটের ডিজাইন নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করা সহজ হয়।
ওয়েবসাইটের ফাংশনগুলো: ওয়েবসাইটটি কী কী কাজ করবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েবসাইটের ফাংশনগুলো নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটিকে আরও ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং কার্যকর করা সহজ হয়।
ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা: ওয়েবসাইটটি তৈরি এবং পরিচালনার জন্য কোন কোন প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য সঠিক সরঞ্জাম, এবং ওয়ার্কফ্লো নির্বাচন করা সহজ হয়।
এছাড়াও, নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ওয়েবসাইট পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে:
বাজেট: ওয়েবসাইট তৈরির জন্য কত খরচ হবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বাজেট নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরির প্রক্রিয়াটিকে আরও কার্যকর করা সহজ হয়।
সময়সীমা: ওয়েবসাইট তৈরির জন্য কত সময় লাগবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। সময়সীমা নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরির প্রক্রিয়াটিকে আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সহজ হয়।
মানদন্ড: ওয়েবসাইটটি কী মানদণ্ডে তৈরি হবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে ব। মানদণ্ড নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটিকে আরও গুণগত মানসম্পন্ন করা সহজ হয়।
ওয়েবসাইট পরিকল্পনা করার সময় এই সমস্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। পরিকল্পনাটি তৈরি করার পরে, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শুরু করা উচিত।
প্রশ্ন ৫। ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ডোমেইন নেম কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডোমেইন নেম নির্বাচনের সময় কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ডোমেইন নেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডোমেইন নেম হলো ওয়েবসাইটের অনলাইন ঠিকানা। এটি একটি অনন্য শব্দ বা বাক্যাংশ যা ব্যবহারকারীরা ব্রাউজারে টাইপ করে ওয়েবসাইটটিতে অ্যাক্সেস করতে পারে।ডোমেইন নেম গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি:
ওয়েবসাইটটিকে অনন্যভাবে শনাক্ত করে: প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য একটি অনন্য ডোমেইন নেম থাকা উচিত। এটি ওয়েবসাইটটিকে অনন্যভাবে শনাক্ত করতে সাহায্য করে এবং অন্য ওয়েবসাইটগুলো থেকে আলাদা করে।
ওয়েবসাইটটিকে মনে রাখা সহজ করে তোলে: সুন্দর এবং মনে রাখা সহজ এমন একটি ডোমেইন নেম ওয়েবসাইটটিকে আরও জনপ্রিয় করতে সাহায্য করে। কারণ ব্যবহারকারীরা সহজেই ডোমেইন নেম মনে রাখতে পারে এবং ব্রাউজারে টাইপ করতে পারে।
ওয়েবসাইটটির ব্র্যান্ডিংয়ে সাহায্য করে: একটি সুন্দর এবং সৃজনশীল ডোমেইন নেম ওয়েবসাইটটির ব্র্যান্ডিংয়ে সাহায্য করে। এটি ওয়েবসাইটটির ব্র্যান্ডের প্রতি ব্যবহারকারীদের •আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে।
ওয়েবসাইট তৈরির সময় একটি ভালো ডোমেইন নেম নির্বাচন ‘করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডোমেইন নেম নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত: ”
- ডোমেইন নেমটি সংক্ষিপ্ত এবং মনে রাখা সহজ হওয়া উচিত।
- ডোমেইন নেমটি ওয়েবসাইটটির বিষয়বস্তু বা ব্যবসায়ের সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
- ডোমেইন নেমটি অনন্য হওয়া উচিত।
একটি ভালো ডোমেইন নেম নির্বাচনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটিকে ‘আরও জনপ্রিয় এবং সফল করা সম্ভব।
প্রশ্ন ৬। ডোমেন নেমের প্রকারভেদ উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ডোমেইন নেম বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। ডোমেইন নেমের প্রকারগুলোকে সাধারণত নিম্নলিখিত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়:
অ্যা টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD): টপ-লেভেল ডোমেইন বী হলো ডোমেইন নেমের সর্বশেষ অংশ। এটি একটি তিন অক্ষরের শব্দ বা বাক্যাংশ যা ওয়েবসাইটটির ধরন বা উদ্দেশ্য নির্দেশ করে। টপ-লেভেল ডোমেইনগুলোকে আবার নিম্নলিখিত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়;
জেনারিক টপ-লেভেল ডোমেইন (gTLD): জেনারিক টপ-লেভেল ডোমেইনগুলো সাধারণত ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহূত হয়। কিছু সাধারণ জেনারিক টপ-লেভেল ডোমেইন হলো: ‘
.com: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে
.net: নেটওয়ার্কিং উদ্দেশ্যে
.org: অলাভজনক সংস্থার জন্য
.edu: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য
.gov: সরকারী সংস্থার জন্য
দেশীয় টপ-লেভেল ডোমেইন (ccTLD): দেশীয় টপ- লেভেল ডোমেইনগুলো কোনো নির্দিষ্ট দেশের সাথে সম্পর্কিত। কিছু সাধারণ দেশীয় টপ-লেভেল ডোমেইন হলো:
.bd: বাংলাদেশ
.us: যুক্তরাষ্ট্র
.uk: যুক্তরাজ্য
.jp: জাপান
.cn: চীন
সেকেন্ড-লেভেল ডোমেইন (SLD): সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন হলো একটি ডোমেইন নামের অংশ যা একটি টপ লেভেল ডোমেইনের ঠিক আগে থাকে। এটি সাধারণত ওয়েবসাইটটির নাম বা ব্যবসায়ের নাম নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, “www.google.com” ডোমেইন নেমটিতে, “google” হলো সেকেন্ড-লেভেল ডোমেইন।
থার্ড-লেভেল ডোমেইন (TLD): থার্ড লেভেল ডোমেইন হলো একটি ডোমেইন নামের অংশ যা একটি সেকেন্ড লেভেল ডোমেইনের পরবর্তীতে থাকে। এটি সাধারণত ওয়েবসাইটটির একটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা পরিষেবা নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, “www.google.com/maps” ডোমেইন নেমটিতে, “maps” হলো থার্ড-লেভেল ডোমেইন।
এছাড়াও, ডোমেইন নেমগুলোকে নিম্নলিখিত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:
প্রাইভেট ডোমেইন: প্রাইভেট ডোমেইনগুলো ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
গভর্নমেন্ট ডোমেইন: গভর্নমেন্ট ডোমেইনগুলো সরকারী সংস্থার জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ, “www.google.com” একটি প্রাইভেট ডোমেইন যা Google Inc. এর জন্য ব্যবহৃত হয়। “www.gov.bd” একটি গভর্নমেন্ট ডোমেইন যা বাংলাদেশ সরকারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন ৭। ওয়েবসাইট হোস্টিং করা হয় কীভাবে? ওয়েবসাইট হোস্টিং এর প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর।
উত্তর: ওয়েবসাইট হোস্টিং হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি ওয়েবসাইটের সমস্ত ফাইলগুলো একটি সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়। এই সার্ভারে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ রয়েছে, তাই এটি বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। ওয়েবসাইট হোস্টিং ছাড়া, কোনো ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে প্রকাশ করা যায় না।
ওয়েবসাইট হোস্টিং করার জন্য, প্রথমে একটি ডোমেইন নেম নিবন্ধন করতে হবে। ডোমেইন নেম হলো একটি অনন্য নাম যা ওয়েবসাইটকে অনলাইনে শনাক্ত করে। একটি ডোমেইন নেম নিবন্ধন করার পরে একটি হোস্টিং প্রদানকারীর সাথে একটি হোস্টিং পরিষেবা চুক্তি করতে হবে। হোস্টিং প্রদানকারী একটি সার্ভারে ওয়েবসাইটের সমস্ত ফাইলগুলো সংরক্ষণ করার জন্য স্থান এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করবে। ওয়েবসাইট হোস্টিং এর প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ:
ইন্টারনেটে উপস্থিতি: ওয়েবসাইট হোস্টিং ছাড়া, কোনো ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে প্রকাশ করা যায় না।
দ্রুত গতি: একটি ভালো হোস্টিং প্রদানকারী দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করবে যা ওয়েবসাইটকে দ্রুত লোড করতে সাহায্য করবে।
নিরাপত্তা: একটি ভালো হোস্টিং প্রদানকারী ওয়েবসাইটকে নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য প্রদান করবে।
সহায়তা: একটি ভালো হোস্টিং প্রদানকারী ব্যবহারকারীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
প্রশ্ন ৮। ওয়েবসাইট হোস্টিং এর প্রকারভেদ আলোচনা কর।
উত্তর: ওয়েবসাইট হোস্টিং বিভিন্ন ধরণের হয়। সাধারণত ওয়েবসাইট হোস্টিংকে নিম্নলিখিত তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়:
শেয়ারড হোস্টিং: শেয়ারড হোস্টিং হলো সবচেয়ে সাধারণ ধরণের হোস্টিং। এটি একটি সার্ভার ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে, যেখানে একাধিক ওয়েবসাইট একই সার্ভার ব্যবহার করে। শেয়ারড হোস্টিং সাধারণত কম খরচে আসে, তবে এটি কম নিয়ন্ত্রণ এবং বিকল্প প্রদান করে।
ভিপিএস হোস্টিং: ভিপিএস হোস্টিং হলো একটি শেয়ারড হোস্টিং প্ল্যানের সাথে আরও নিয়ন্ত্রণ এবং বিকল্প প্রদান করে। একটি ভিপিএস হোস্টিং প্ল্যানে, একটি সম্পূর্ণ সার্ভার দেওয়া হয় যা নিজের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সেট আপ করা হয়। ভিপিএস হোস্টিং শেয়ারড হোস্টিংয়ের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল, তবে এটি আরও উন্নত কর্মক্ষমতা এবং বিকল্প প্রদান করে।
ডেডিকেটেড হোস্টিং: ডেডিকেটেড হোস্টিং হলো সবচেয়ে উন্নত ধরণের হোস্টিং। এটি একটি সম্পূর্ণ সার্ভার দেওয়া হয় যা শুধুমাত্র একজনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। ডেডিকেটেড হোস্টিং সবচেয়ে ব্যয়বহুল, তবে এটি সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে।
প্রশ্ন ৯। বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য গুগল সাইটস এর উপযোগিতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গুগল সাইটস হলো একটি বিনামূল্যের ওয়েবসাইট নির্মাণ সরঞ্জাম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই এবং দ্রুত একটি সম্পূর্ণ কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে দেয়। গুগল সাইটস ব্যবহার করার জন্য কোনো কোডিং জ্ঞান প্রয়োজন হয় না এবং এটি বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরণের টেমপ্লেট এবং বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। গুগল সাইটস বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য উপযোগী কারণ এটি:
সহজ: গুগল সাইটস ব্যবহার করা সহজ। কোনো কোডিং জ্ঞান প্রয়োজন হয় না এবং এটি একটি সহজ ডেটাবেস- ভিত্তিক ইন্টারফেস প্রদান করে যা ব্যবহারকারীদের দ্রুত এবং সহজেই তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করতে দেয়।
উপলব্ধ: গুগল সাইটস কোনো অতিরিক্ত সফ্টওয়্যার বা হার্ডওয়্যার ছাড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি যেকোনো কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে।
কাস্টমাইজড: গুগল সাইটস বিভিন্ন ধরণের টেমপ্লেট এবং বৈশিষ্ট্য প্রদান করে যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইটকে তাদের নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা এবং পছন্দগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে দেয়।
গুগল সাইটস ব্যবহার করে তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলোতে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
একটি ডোমেন নেম: গুগল সাইটস ব্যবহারকারীদের একটি বিনামূল্যের ডোমেন নেম প্রদান করে।
হোস্টিং: গুগল সাইটস ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইটগুলো Google এর সার্ভারে হোস্ট করা হয়।
কাস্টমাইজেশন: ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইটের টেমপ্লেট, রং, ফন্ট এবং সামগ্রী পরিবর্তন করতে পারেন।
নিরাপত্তা: গুগল সাইটস ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইটগুলোকে সুরক্ষিত করতে HTTPS এবং Google-দ্বারা প্রদত্ত অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো অফার করে।
গুগল সাইটস বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এটি ব্যবহার করা সহজ, উপলব্ধ এবং ব্যক্তিগতকৃত। গুগল সাইটস ব্যবহার করে যে কেউ সহজেই একটি সম্পূর্ণ কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে।
প্রশ্ন ১০। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট বিল্ডার হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট বিল্ডার হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তার কারণগুলো নিম্নরূপ:
সহজ ব্যবহার: ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা সহজ। কোনো কোডিং জ্ঞান ছাড়াই যে কেউ ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে একটি সম্পূর্ণ কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেসের একটি সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইট তৈরি এবং পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য: ওয়ার্ডপ্রেস বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। ওয়ার্ডপ্রেসের একটি বিশাল থিম এবং প্লাগইন লাইব্রেরি রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইটকে নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা এবং পছন্দগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে দেয়।
ব্যক্তিগতকরণ: ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইটকে নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা এবং পছন্দগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে দেয়। ওয়ার্ডপ্রেস একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম যাঁ ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু, ডিজাইন এবং ফাংশনগুলোকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়।
নিরাপত্তা: ওয়ার্ডপ্রেস একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন হুমকি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ওয়ার্ডপ্রেস একটি নিয়মিত নিরাপত্তা হালনাগাদ আপডেট প্রদান করে যা ব্যবহারকারীদের তাদের ওয়েবসাইটকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বিল্ডার হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এটি একটি উন্মুক্ত উৎস প্ল্যাটফর্ম। এটি মানে যে ওয়ার্ডপ্রেস সম্প্রদায়ের সদস্যরা ওয়ার্ডপ্রেসের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। এই অবদানগুলো ওয়ার্ডপ্রেসকে আরও উন্নত এবং কার্যকর করে তোলে। ওয়ার্ডপ্রেস একটি শক্তিশালী এবং বহুমুখী ওয়েবসাইট বিল্ডার যা যেকোনো ধরনের ব্যবসা বা ব্যক্তির জন্য উপযুক্ত। সহজ ব্যবহারযোগ্যতা, বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য এবং নিরাপত্তার কারণে বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট বিল্ডার হিসেবে এটি সবচেয়ে জনপ্রিয়।
আরও দেখুন: ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১ বড় প্রশ্ন
আরও দেখুন: ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ২ বড় প্রশ্ন
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল আপডেট পেতে ফলো করে রাখতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ, এবং ভিডিও ক্লাস করতে সাবক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।